দোয়া জওশান কাবির বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ
গ্রুপিং দোয়া এবং জিয়ারত
লেখক
গবেষণা সহকর্মী
প্রকাশক
বইয়ের ভাষা بنگلادشی
মুদ্রণ বছর 1396
কাজের সংস্করণ
দোয়া জওশান কাবির বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ

দোয়া জওশান কাবির বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ

প্রকাশক: -
বাংলা

বালাদুল আমিন এবং মেসবাহে কাফআমি নামক গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, “জওশান কাবির” নামক দোয়াটি ইমাম আলী ইবনে হোসাইন জয়নুল আবেদিন (আ.) তার পিতা থেকে এবং তিনি তার পিতা এবং তিনি রাসূল (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে এ দোয়াটি দোয়াটি হযরত জিবরাঈল (আ.) কোন এক যুদ্ধে রাসূল (সা.) কে শিখিয়েছিলেন এমতাবস্থায় যে, তিনি অত্যন্ত ভারী একটি বর্ম পরেছিলেন যা মহানবীর পবিত্র শরীরকে কষ্ট দিচ্ছিল। হযরত জিবরাঈল (আ.) রাসূল (সা.) এর কাছে এসে বললেনঃ হে মুহাম্মদ (সা.)! আল্লাহ আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং বলেছেন এ বর্মটি খুলে ফেলতে ও দোয়াটি (জওশান কাবির) পাঠ করতে যা আপনার এবং আপনার উম্মতের নিরাপত্তা বিধান করবে।

উক্ত দোয়াটির বিভিন্ন ফযিলত রয়েছে তন্মধ্য উল্লেখযোগ্য হল- যদি কোন মৃত ব্যাক্তির কাফনে এ দোয়াটি লিখে দেয়া হয় তবে আল্লাহ তাকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকবেন। যদি কেউ তা রমজান মাসে একনিষ্ঠচিত্তে পাঠ করে তাহলে সে শবে ক্বদরের রাত্রিটি পাবে এবং আল্লাহ তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তাকে সৃষ্টি করবেন যারা আল্লাহর যিকর ও তসবিহ করবে আর উক্ত যিকরের সওয়াব সে পাবে। রমজান মাসে যে ব্যাক্তি এ দোয়টি তিনবার পাঠ করবে আল্লাহ তার জন্য জাহান্নামের আগুনকে হারাম করে দিবেন এবং বেহেশতকে তার জন্য ওয়াজিব করে দিবেন। আরো বলা হয়েছে মহান আল্লাহু রাব্বুল আলামিন দুইজন ফেরেশতাকে তার জন্য নিয়োগ করবেন যারা তাকে বিভিন্ন গুনাহ থেকে রক্ষা করবেন এবং সে সারা জীবন আল্লাহর রহমতের সুশীতল ছায়াতলে নিরাপদে থাকবে। ইমাম হুসাইন (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে,তিনি বলেছেনঃ আমার পিতা হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) ওসিয়ত করেছেন যে,“দোয়া-এ জওশান কাবির”লিখা কাফনে যেন তাকে দাফন করি এবং আমাদের পরিবার পরিজনকে এ দোয়াটি শিক্ষা দিই এবং তা পাঠ করতে উৎসাহ প্রদান করি। এ দোয়াটিতে আল্লাহর তায়ালাকে এক হাজার গুণবাচক নাম এবং ইসমে আযম দ্বারা সম্বোধন করা হয়েছে