সূরা বাকারাহ;আয়াত ১৭-১৯ (৭ম পর্ব)
সূরা বাকারাহ'র ১৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- "
مَثَلُهُمْ كَمَثَلِ الَّذِي اسْتَوْقَدَ نَارًا فَلَمَّا أَضَاءَتْ مَا حَوْلَهُ ذَهَبَ اللَّهُ بِنُورِهِمْ وَتَرَكَهُمْ فِي ظُلُمَاتٍ لَا يُبْصِرُونَ
"মুনাফিকদের অবস্থা সে ব্যক্তির মত, যে লোক কোথাও আগুন জ্বালালো এবং তার চারদিককার সবকিছুকে যখন আগুন স্পষ্ট করে তুললো, ঠিক এমনি সময় আল্লাহ তার চারদিকের আলোকে উঠিয়ে নিলেন এবং তাদেরকে অন্ধকারে ছেড়ে দিলেন। ফলে, তারা কিছুই দেখতে পায় না।"" (২:১৭)
এর আগের আয়াতগুলোয় মুনাফিকদের কথা ও আচরণের কিছু দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হয়েছিল। এ আয়াতে তাদেরকে অন্ধকার প্রান্তে অগ্নি প্রজ্জ্বলনকারী ব্যক্তির সাথে তুলনা করে বলা হয়েছে-মুনাফিকদের ঈমানের আলো আগুনের আলোর মত দুর্বল,অস্থায়ী এবং এতে রয়েছে ধোঁয়া,ছাই ও অন্তর্জ্বালা। মুনাফিকরা ঈমানের আলোর বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। কিন্তু তাদের ভেতর রয়েছে কুফরী বা খোদাদ্রোহিতার আগুন। এই দুর্বল আলো মানব প্রকৃতিতে দেয়া আল্লাহর সেই পবিত্র নূরেরই অংশ। কিন্তু হিংসা-বিদ্বেষ ও একগুঁয়েমির কারণে ওই নূর ক্রমেই নিষ্প্রভ হয়ে আসে। এ ভাবে ধীরে ধীরে একসময় অজ্ঞতা ও অন্ধকারের পর্দায় তা আচ্ছাদিত হয়ে যায় এবং মুনাফিকদের সমস্ত অস্তিত্ব ছেয়ে পড়ে কুফুরী বা খোদাদ্রোহিতার নিকষ কালো অন্ধকারে। মুনাফিকরা কপটতার পথ বেছে নিয়ে মনে করে- নরকবাসী কাফেরদের খুশী রাখতে পারবে এবং একইসঙ্গে বেহেশতবাসী মুমিনদেরও সন্তুষ্ট করতে পারবে। তারা মনে করে- কাফেরদের দুনিয়া থেকেও লাভবান হতে পারবে এবং মুমিনদের পরকাল থেকেও বঞ্চিত হবে না। তাই কোরআন মুনাফিকদেরকে এমন ব্যক্তির সঙ্গে তুলনা করেছে যে আগুন জ্বালিয়ে আগুন ও আলো অর্থাৎ সত্য ও মিথ্যার সমন্বয় ঘটায়, যাতে এ দুটো থেকেই লাভবান হতে পারে। কিন্তু জীবন তো হলো অন্ধকার প্রান্তরের মত। এ দুর্গম প্রান্তর অতিক্রম করে নিশ্চিন্তে গন্তব্যে পৌঁছার জন্য উজ্জ্বল ও স্থায়ী আলোর প্রয়োজন। কারণ ঝড়-ঝঞ্ঝা যে কোন দুর্বল আলোর শিখা নিভিয়ে দেয় এবং মানুষকে নিমজ্জিত করে গভীর অন্ধকারে।
এই আয়াতে আমাদের জন্য কয়েকটি শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে,
প্রথমত: মুনাফিকের আলো আগুনের আলোর মত অস্থায়ী এবং দুর্বল।
দ্বিতীয়ত: মুনাফিকের অস্তিত্ব হলো অশান্তি ও আগুনের উৎস।
তৃতীয়ত: মুনাফিকরা সত্যিকার আলো বা হকে পৌঁছবার জন্য আগুন ব্যবহার করে। কিন্তু এর ফলে জ্বালা-পোড়া, ছাই আর ধোঁয়া ছাড়া অন্য কিছু পায় না।
চতুর্থত: শেষ পর্যন্ত আল্লাহপাক মুনাফিককে পর্যুদস্ত করেন এবং তাদের বাহ্যিক জ্যোতিও ছিনিয়ে নেন।
পঞ্চমত: মুনাফিকদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার এবং তাদের মুক্তির কোন আশা নেই।
ষষ্ঠত: আল্লাহর সামনে তাদের কপটতা ও দ্বিমুখী আচরণ তাদের বুদ্ধিমত্তার বহিঃপ্রকাশ নয় বরং তাদের এ আচরণ তাদের জন্য বয়ে আনে অন্ধকার ও ধ্বংস।
এরপর এই সূরার আঠারোতম আয়াতে বলা হয়েছে-
صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لَا يَرْجِعُونَ
"তারা মূক, বধির ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না।" (২:১৮)
অন্যান্য মানুষের মত মুনাফিকদেরও চোখ,কান ও মুখ আছে। কিন্তু তাদের চোখ যেহেতু সত্য দেখতে ও উপলদ্ধি করতে করে না, তাদের কান যেহেতু সত্য কথা শুনতে চায় না এবং তাদের জিভ যেহেতু সত্য কথা বলা থেকে বিরত থাকে তাই কোরআন তাদেরকে এমন ব্যক্তিদের সাথে তুলনা করেছে যারা কথা বলতে পারে না, চোখে দেখে না এবং কানে শোনে না। বিদ্বেষ ও অন্ধ অনুসরণের পরিণতি হলো সত্য উপলব্ধির ক্ষমতা হাত ছাড়া করা। মুনাফিকের অভ্যন্তরীণ কুফরী ও অবিশ্বাস তার চোখ, কান ও বাকশক্তিকে এমনভাবে ঢেকে দেয় এবং সত্যকে আচ্ছাদিত করে যে, সে কাফেরের মতই সত্যকে উল্টো দেখতে পায়। সত্যকে মিথ্যা থেকে পৃথক করার শক্তি হারিয়ে ফেলে। এর আগের আয়াতে বলা হয়েছে, ঈমানের আলো সরে যাওয়ার পর অবিশ্বাসের অন্ধকার মুনাফিকদের সমস্ত অস্তিত্ব এমন ভাবে ঢেকে ফেলে যে তারা দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে। আর এ আয়াতে বলা হচ্ছে যে, তারা শুধু দৃষ্টিশক্তিই নয় একই সঙ্গে শ্রবণ ও সত্য কথা বলার শক্তিও হারিয়ে ফেলে। অন্ধকারের মধ্যে তাদের পথ চলার পরিণতি ধ্বংস ছাড়া আর কিছু নয় এবং এ থেকে ফিরে আসার কোন পথ নেই।
এবারে ১৯ নম্বর আয়াত দিকে দৃষ্টি দিচ্ছি। এ আয়াতে বলা হয়েছে-
أَوْ كَصَيِّبٍ مِنَ السَّمَاءِ فِيهِ ظُلُمَاتٌ وَرَعْدٌ وَبَرْقٌ يَجْعَلُونَ أَصَابِعَهُمْ فِي آَذَانِهِمْ مِنَ الصَّوَاعِقِ حَذَرَ الْمَوْتِ وَاللَّهُ مُحِيطٌ بِالْكَافِرِينَ
""আর তাদের উদাহরণ সেসব লোকের মত যারা দুর্যোগপূর্ণ ঝড়ো রাতে পথ চলে,যাতে রয়েছে আঁধার,গর্জন ও বিদ্যুৎ চমক। মৃত্যুর ভয়ে তারা গর্জনের সময় কানে আঙ্গুল দিয়ে রক্ষা পেতে চায়। অথচ সমস্ত কাফেরই আল্লাহ কর্তৃক পরিবেষ্ঠিত।" (২:১৯)
সূরা বাকারাহ'র ১৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহপাক মুনাফিকদেরকে এমন দিগভ্রান্তদের সঙ্গে তুলনা করেছেন যারা তাদের পথের আলো হারিয়ে ফেলেছে এবং নিকষ কালো অন্ধকারের মধ্যে উদ্ভ্রান্তের মত পথ হাতড়াচ্ছে। কিন্তু তাদের সঠিক পথ পাওয়ার কোন আশা নেই, আশা নেই সত্যের দিকে ফিরে আসার। কিন্তু এই ১৯ নম্বর আয়াতে বলা হচ্ছে যে, মুনাফিকরা কাদার মধ্যে আটকে আছে, আর মুষলধারে বৃষ্টি,অন্ধকার,রক্তহিম করা বজ্রপাতের শব্দ চোখ ধাঁধানো বিদ্যুৎ চমকানী এবং ভয়ঙ্কর মৃত্যুভয় তাদেরকে ঘিরে রেখেছে। কিন্তু বৃষ্টি থেকে নিজেদেরকে রক্ষার কোন আশ্রয় স্থল তাদের নেই এবং অন্ধকার,বিদ্যুৎ ঝলক,বজ্রপাতের শব্দ থেকেও তাদের নিস্তার নেই।
সূরা বাকারাহ'র ১৯ নম্বর আয়াতের কয়েকটি শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে-
প্রথমত: মুনাফিকরা সমস্যায় জর্জরিত এবং সন্ত্রস্ত। এ দুনিয়াতে ভয় ও শঙ্কায় সব সময় তারা আক্রান্ত।
দ্বিতীয়ত: মৃত্যুভয়ে মুনাফিকরা সব সময় শঙ্কিত। এই ভয় ও আশঙ্কার কারণে তাদের আত্মায় শান্তি নেই।
তৃতীয়ত: আল্লাহপাক মুনাফিকদেরকে ঘিরে রেখেছেন এবং তাদের ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দেন।
সূরা বাকারাহ'র ১৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- "
مَثَلُهُمْ كَمَثَلِ الَّذِي اسْتَوْقَدَ نَارًا فَلَمَّا أَضَاءَتْ مَا حَوْلَهُ ذَهَبَ اللَّهُ بِنُورِهِمْ وَتَرَكَهُمْ فِي ظُلُمَاتٍ لَا يُبْصِرُونَ
"মুনাফিকদের অবস্থা সে ব্যক্তির মত, যে লোক কোথাও আগুন জ্বালালো এবং তার চারদিককার সবকিছুকে যখন আগুন স্পষ্ট করে তুললো, ঠিক এমনি সময় আল্লাহ তার চারদিকের আলোকে উঠিয়ে নিলেন এবং তাদেরকে অন্ধকারে ছেড়ে দিলেন। ফলে, তারা কিছুই দেখতে পায় না।"" (২:১৭)
এর আগের আয়াতগুলোয় মুনাফিকদের কথা ও আচরণের কিছু দৃষ্টান্ত বর্ণনা করা হয়েছিল। এ আয়াতে তাদেরকে অন্ধকার প্রান্তে অগ্নি প্রজ্জ্বলনকারী ব্যক্তির সাথে তুলনা করে বলা হয়েছে-মুনাফিকদের ঈমানের আলো আগুনের আলোর মত দুর্বল,অস্থায়ী এবং এতে রয়েছে ধোঁয়া,ছাই ও অন্তর্জ্বালা। মুনাফিকরা ঈমানের আলোর বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। কিন্তু তাদের ভেতর রয়েছে কুফরী বা খোদাদ্রোহিতার আগুন। এই দুর্বল আলো মানব প্রকৃতিতে দেয়া আল্লাহর সেই পবিত্র নূরেরই অংশ। কিন্তু হিংসা-বিদ্বেষ ও একগুঁয়েমির কারণে ওই নূর ক্রমেই নিষ্প্রভ হয়ে আসে। এ ভাবে ধীরে ধীরে একসময় অজ্ঞতা ও অন্ধকারের পর্দায় তা আচ্ছাদিত হয়ে যায় এবং মুনাফিকদের সমস্ত অস্তিত্ব ছেয়ে পড়ে কুফুরী বা খোদাদ্রোহিতার নিকষ কালো অন্ধকারে। মুনাফিকরা কপটতার পথ বেছে নিয়ে মনে করে- নরকবাসী কাফেরদের খুশী রাখতে পারবে এবং একইসঙ্গে বেহেশতবাসী মুমিনদেরও সন্তুষ্ট করতে পারবে। তারা মনে করে- কাফেরদের দুনিয়া থেকেও লাভবান হতে পারবে এবং মুমিনদের পরকাল থেকেও বঞ্চিত হবে না। তাই কোরআন মুনাফিকদেরকে এমন ব্যক্তির সঙ্গে তুলনা করেছে যে আগুন জ্বালিয়ে আগুন ও আলো অর্থাৎ সত্য ও মিথ্যার সমন্বয় ঘটায়, যাতে এ দুটো থেকেই লাভবান হতে পারে। কিন্তু জীবন তো হলো অন্ধকার প্রান্তরের মত। এ দুর্গম প্রান্তর অতিক্রম করে নিশ্চিন্তে গন্তব্যে পৌঁছার জন্য উজ্জ্বল ও স্থায়ী আলোর প্রয়োজন। কারণ ঝড়-ঝঞ্ঝা যে কোন দুর্বল আলোর শিখা নিভিয়ে দেয় এবং মানুষকে নিমজ্জিত করে গভীর অন্ধকারে।
এই আয়াতে আমাদের জন্য কয়েকটি শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে,
প্রথমত: মুনাফিকের আলো আগুনের আলোর মত অস্থায়ী এবং দুর্বল।
দ্বিতীয়ত: মুনাফিকের অস্তিত্ব হলো অশান্তি ও আগুনের উৎস।
তৃতীয়ত: মুনাফিকরা সত্যিকার আলো বা হকে পৌঁছবার জন্য আগুন ব্যবহার করে। কিন্তু এর ফলে জ্বালা-পোড়া, ছাই আর ধোঁয়া ছাড়া অন্য কিছু পায় না।
চতুর্থত: শেষ পর্যন্ত আল্লাহপাক মুনাফিককে পর্যুদস্ত করেন এবং তাদের বাহ্যিক জ্যোতিও ছিনিয়ে নেন।
পঞ্চমত: মুনাফিকদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার এবং তাদের মুক্তির কোন আশা নেই।
ষষ্ঠত: আল্লাহর সামনে তাদের কপটতা ও দ্বিমুখী আচরণ তাদের বুদ্ধিমত্তার বহিঃপ্রকাশ নয় বরং তাদের এ আচরণ তাদের জন্য বয়ে আনে অন্ধকার ও ধ্বংস।
এরপর এই সূরার আঠারোতম আয়াতে বলা হয়েছে-
صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لَا يَرْجِعُونَ
"তারা মূক, বধির ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না।" (২:১৮)
অন্যান্য মানুষের মত মুনাফিকদেরও চোখ,কান ও মুখ আছে। কিন্তু তাদের চোখ যেহেতু সত্য দেখতে ও উপলদ্ধি করতে করে না, তাদের কান যেহেতু সত্য কথা শুনতে চায় না এবং তাদের জিভ যেহেতু সত্য কথা বলা থেকে বিরত থাকে তাই কোরআন তাদেরকে এমন ব্যক্তিদের সাথে তুলনা করেছে যারা কথা বলতে পারে না, চোখে দেখে না এবং কানে শোনে না। বিদ্বেষ ও অন্ধ অনুসরণের পরিণতি হলো সত্য উপলব্ধির ক্ষমতা হাত ছাড়া করা। মুনাফিকের অভ্যন্তরীণ কুফরী ও অবিশ্বাস তার চোখ, কান ও বাকশক্তিকে এমনভাবে ঢেকে দেয় এবং সত্যকে আচ্ছাদিত করে যে, সে কাফেরের মতই সত্যকে উল্টো দেখতে পায়। সত্যকে মিথ্যা থেকে পৃথক করার শক্তি হারিয়ে ফেলে। এর আগের আয়াতে বলা হয়েছে, ঈমানের আলো সরে যাওয়ার পর অবিশ্বাসের অন্ধকার মুনাফিকদের সমস্ত অস্তিত্ব এমন ভাবে ঢেকে ফেলে যে তারা দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে। আর এ আয়াতে বলা হচ্ছে যে, তারা শুধু দৃষ্টিশক্তিই নয় একই সঙ্গে শ্রবণ ও সত্য কথা বলার শক্তিও হারিয়ে ফেলে। অন্ধকারের মধ্যে তাদের পথ চলার পরিণতি ধ্বংস ছাড়া আর কিছু নয় এবং এ থেকে ফিরে আসার কোন পথ নেই।
এবারে ১৯ নম্বর আয়াত দিকে দৃষ্টি দিচ্ছি। এ আয়াতে বলা হয়েছে-
أَوْ كَصَيِّبٍ مِنَ السَّمَاءِ فِيهِ ظُلُمَاتٌ وَرَعْدٌ وَبَرْقٌ يَجْعَلُونَ أَصَابِعَهُمْ فِي آَذَانِهِمْ مِنَ الصَّوَاعِقِ حَذَرَ الْمَوْتِ وَاللَّهُ مُحِيطٌ بِالْكَافِرِينَ
""আর তাদের উদাহরণ সেসব লোকের মত যারা দুর্যোগপূর্ণ ঝড়ো রাতে পথ চলে,যাতে রয়েছে আঁধার,গর্জন ও বিদ্যুৎ চমক। মৃত্যুর ভয়ে তারা গর্জনের সময় কানে আঙ্গুল দিয়ে রক্ষা পেতে চায়। অথচ সমস্ত কাফেরই আল্লাহ কর্তৃক পরিবেষ্ঠিত।" (২:১৯)
সূরা বাকারাহ'র ১৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহপাক মুনাফিকদেরকে এমন দিগভ্রান্তদের সঙ্গে তুলনা করেছেন যারা তাদের পথের আলো হারিয়ে ফেলেছে এবং নিকষ কালো অন্ধকারের মধ্যে উদ্ভ্রান্তের মত পথ হাতড়াচ্ছে। কিন্তু তাদের সঠিক পথ পাওয়ার কোন আশা নেই, আশা নেই সত্যের দিকে ফিরে আসার। কিন্তু এই ১৯ নম্বর আয়াতে বলা হচ্ছে যে, মুনাফিকরা কাদার মধ্যে আটকে আছে, আর মুষলধারে বৃষ্টি,অন্ধকার,রক্তহিম করা বজ্রপাতের শব্দ চোখ ধাঁধানো বিদ্যুৎ চমকানী এবং ভয়ঙ্কর মৃত্যুভয় তাদেরকে ঘিরে রেখেছে। কিন্তু বৃষ্টি থেকে নিজেদেরকে রক্ষার কোন আশ্রয় স্থল তাদের নেই এবং অন্ধকার,বিদ্যুৎ ঝলক,বজ্রপাতের শব্দ থেকেও তাদের নিস্তার নেই।
সূরা বাকারাহ'র ১৯ নম্বর আয়াতের কয়েকটি শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে-
প্রথমত: মুনাফিকরা সমস্যায় জর্জরিত এবং সন্ত্রস্ত। এ দুনিয়াতে ভয় ও শঙ্কায় সব সময় তারা আক্রান্ত।
দ্বিতীয়ত: মৃত্যুভয়ে মুনাফিকরা সব সময় শঙ্কিত। এই ভয় ও আশঙ্কার কারণে তাদের আত্মায় শান্তি নেই।
তৃতীয়ত: আল্লাহপাক মুনাফিকদেরকে ঘিরে রেখেছেন এবং তাদের ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দেন।