যে অমুসলিমরা কুরআনকে একটু ভালোভাবে যাচাই করে দেখে তাদেরকে একটা বিষয় খুবই অবাক করে আর তা হলো কুরআনকে তারা যেমন মনে করে এসছে এটা তেমন নয়। তারা যেটা ধরে নেয় সেটা হচ্ছে এটা হচ্ছে একটা পুরাতন পুস্তক যেটা ১৪০০ বছর আগে আরবের মরুভূমি থেকে এসেছে। আর তাই তারা আশা করে পুস্তকটির আচরণও তেমনটি হবে-অর্থ্যাৎ- মরুভূমির একটা পুরাতন পুস্তক এর মত। কিন্তু পরে তারা দেখে তাদের পূর্ব ধারণার সাথে এর মিল নেই। উপরন্তু বেশিরভাগ লোকই প্রথমেই মনে করে থাকে যেহেতু বইটি মরুভূমি থেকে আবির্ভূত একটা পুরাতন পুস্তক তাই এটার আলোচ্যবিষয় হবে মরুভূমি। হ্যাঁ, কুরআনে মরুভূমির আলোচনাও আছে- এর একটা অংশে মরুভূমির বর্ণনা আছে, তবে সাগরও এটার আলোচ্যবিষয়ে আছে- ঝড়ের সময় সাগর কেমন হয় তার বর্ণনা।
বণিক জাহাজ (Merchant Marine)
কয়েক বছর আগে টরেন্টোয় আমরা একজন লোকের কথা জেনেছি যে বণিক জাহাজে (merchant marine) কাজ করত এবং এতেই জীবিকা নির্বাহ করত। তাকে একজন মুসলিম কুরআনের একটি অনুবাদ দিল পড়ার জন্যে। ঐ নাবিক ইসলামের ইতিহাস সম্বন্ধে কিছুই জানতনা, কিন্তু আগ্রহ নিয়ে কুরআন পড়ল। সে পড়া শেষ করে উক্ত মুসলিমের কাছে বইটা ফিরিয়ে দেবার সময় জিজ্ঞেস করল ,“এই মুহাম্মাদ (সাঃ) লোকটা কি কোন নাবিক ছিল?” কুরআন কি নিঁখুতভাবে সমুদ্রের ঝড়ের বর্ণনা দিয়েছে তা দেখে সে খুবই মুগ্ধ হয়েছিল। যখন তাকে বলা হলো ,“ না, মুহাম্মাদ সা. তো বাস করতেন মরুভূমিতে”, এ কথাই তার জন্যে যথেষ্ট হলো। সে তৎক্ষণাৎ ইসলাম কবুল করল।
কুরআনের বর্ণনায় সে এতটা মুগ্ধ হবার কারণ সে সমুদ্রে ঝড়ের সময়েও ছিল এবং সে জানত যে ঐ বর্ণনাটা যে লিখেছে সেও অবশ্যই ঝড়ের সময়ে সমুদ্রে ছিল। “তরঙ্গের উপর তরঙ্গ, যার উপরে ঘন কালো মেঘ” (সুরা আন নূর,২৪:৪০) কথাটি এমন কারো দ্বারা লেখা হয়নি যে সমুদ্রে ঝড় কেমন হতে পারে তার একটা কল্পনা মনে এঁকেছে বরং এটা এমন কেউ লিখেছে যে সত্যিই জানে সমুদ্রবক্ষে ঝড়ের রূপ কেমন। কুরআন যে স্থান ও কালের বন্ধনে আবদ্ধ নয় এটা তারই একটা উদাহরণ। নিশ্চিতভাবেই কুরআনে বিধৃত বৈজ্ঞানিক ধারণাবলি ১৪০০ বছর আগে মরুভূমি থেকে আবির্ভূত হয়েছে বলে মনে হবার কারণ নেই।
ক্ষুদ্রতর জিনিস (The Smallest Thing)
মুহাম্মাদ সা. এর নবুওয়্যাত প্রাপ্তির অনেক শতাব্দী আগে গ্রীক দার্শনিক ডেমোক্রিটাস প্রস্তাবিত “পরমাণুবাদ” (theory of atomism) নামে সুপরিচিত একটি তত্ত বিদ্যমান ছিল। সে এবং তার পরবর্তীতে মানুষ মনে করত পদার্থ পরমাণু নামে এক ক্ষুদ্র, অবিনশ্বর ও অবিভাজ্য কণা দ্বারা গঠিত। আরবদের ধারণাও অভিন্ন ছিল। এছাড়াও আরবী শব্দ ‘যাররা’ ( ذَرَّةٍ ) বলতে সাধারণত মানুষের জানা সবচেয়ে ছোট বস্তুকেই বোঝানো হতো। বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যে পদার্থের ক্ষুদ্রতম একককেও (অর্থ্যা ৎ পরমাণু-উপাদান হিসেবে যাতে সকল অভিন্ন বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে) তার উপাদান-বস্তুতে ভাঙ্গা যায় । এটা একটা নতুন ধারণা যা গত শতকে বিকাশ লাভ করেছে। তবুও মজার ব্যাপার হচ্ছে কুরআন আগেই এ কথার সপক্ষে বলে গেছে।
সুরা সাবা ( ৩৪:৩ )
وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لَا تَأْتِينَا السَّاعَةُ ۖ قُلْ بَلَىٰ وَرَبِّي لَتَأْتِيَنَّكُمْ عَالِمِ الْغَيْبِ ۖ لَا يَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ فِي السَّمَاوَاتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ وَلَا أَصْغَرُ مِن ذَٰلِكَ وَلَا أَكْبَرُ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
কাফেররা বলে আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না। বলুন কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার শপথ-অবশ্যই আসবে। তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত। নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে তাঁর আগোচরে নয় অণু পরিমাণ কিছু, না তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং না বৃহৎ-সমস্তই আছে সুস্পষ্ট কিতাবে।
নি:সন্দেহে ১৪০০ শতক আগে এমনকি একজন আরবের কাছেও কথাটি অদ্ভূত ঠেকত। তার কাছে ‘যাররা’ ( ذَرَّةٍ ) মানে ছিল বিরাজিত ক্ষুদ্রতম কণা। এটা প্রকৃতই প্রমাণ করে কুরআন পুরাতন বা সেকেলে নয়।
মধু (Honey)
কেউ ‘পুরাতন বইটি’ তে পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করতে পারে এমন আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে কুরআনে আলোচিত চিকিৎসা বা প্রতিকার সেকেলে হওয়া। বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায় যে নবী করীম সা. স্বাস্হ্যবিধি সম্পর্কে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন। এ সত্বেও এসব উপদেশের বেশিরভাগই কুরআনে বর্ণিত হয়নি। প্রথমদৃষ্টিতে অমুসলিমদের কাছে মনে হবে এগুলো অবহেলায় বাদ পড়েছে। তারা বুঝতে পারেনা কেন আল্লাহ এমন সহায়ক তথ্য কুরআনে অর্ন্তভূক্ত করবেননা। কোন কোন মুসলিম নিম্নোক্ত যুক্তি দ্বারা এ অনুপস্হিতি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে:
যদিও নবী সা. এর উপদেশ তাঁর সময়কালের জন্যে উপযুক্ত ও প্রয়োগযোগ্য ছিল, আল্লাহ তাঁর অসীম জ্ঞানে জানতেন যে পরবর্তীতে চিকিৎসা ব্যাবস্থা এবং বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষের ফলে নবীর (সা.) কথা সেকেলে মনে হবে। পরবর্তী আবিষ্কারের ফলে মানুষ বলতে পারত নবী সা. যে তথ্যটা দিয়েছিলেন এটা তার সাথে মিলছেনা। কিন্তু আল্লাহ যেহতেু অমুসলিমদের কুরআনে নিজের সাথে বা হাদিসের সাথে বৈপরিত্য আছে এটা দাবী করবার সুযোগ দেবেননা তাই তিনি কুরআনে শুধু সেই তথ্যই সন্নিবেশ করেছেন যা সময়ের পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হতে পারে। যখন কেউ কুরআনের সত্যিকার বাস্তবতাকে ঐশী ওহীর আলোকে পরীক্ষা করে দেখে পুরো ব্যাপারটা তখন দ্রুতই সঠিক দৃষ্টিকোণ থেকে ধরা পড়ে এবং এ ধরণের যুক্তিপ্রদর্শনের অসারতা সুস্পষ্ট ও বোধগম্য হয়ে যায়।
এটা অবশ্যই বুঝতে হবে কুরআন ঐশী কিতাব আর এর সব তথ্য বস্তুতই খোদায়ী উৎস থেকে নির্গত। আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকেই কুরআন নাজিল করেছেন। এটা আল্লাহর এমন বাণী যা সৃষ্টির পূর্বেও বিদ্যমান ছিল। অতএব এতে আর কিছুই যোজন, বিয়োজন বা পরিবর্তন করা যাবেনা। সারকথায়, কুরআন মুহাম্মাদ সা. এর সৃষ্টিরও আগেই পুঙ্খানুপুঙ্খ রুপে বিদ্যমান ছিল। ফলে এতে কোনভাবেই নবী সা. এর কোন কথা বা পরামর্শ থাকতে পারেনা। এমন কিছু থাকলে সেটা কুরআন নাজিলের উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক হতো, এর স্বকীয়তার সাথে আপোষ হতো এবং এটা আসমানী কিতাব হিসেবে হতো ত্রুটিযুক্ত।
স্বাভাববিকভাবেই কুরআনে এমন কোন ঘরোয়া চিকিৎসার কথা নেই যেটাকে কেউ পুরানো বলতে পারে, স্বাস্হের পক্ষে কোন জিনিস উপকারী হতে পারে সে ব্যাপারে কিান মানবীয় মতামত এতে নেই, কোন খাবার খাওয়া ভালো বা কোন রোগ কীভাবে নিরাময় হবে এমন কিছুও নেই। রোগ প্রতিকারের ব্যাপারে কুরআন শুধু একটা জিনিসেরই উল্লেখ করেছে এবং সেটা একেবারেই অবিতর্কিত। কুরআন বলছে মধুতে আছে নিরাময়। আমি মনে করিনা কেউ এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে ।(ইন্টারনেট)
বণিক জাহাজ (Merchant Marine)
কয়েক বছর আগে টরেন্টোয় আমরা একজন লোকের কথা জেনেছি যে বণিক জাহাজে (merchant marine) কাজ করত এবং এতেই জীবিকা নির্বাহ করত। তাকে একজন মুসলিম কুরআনের একটি অনুবাদ দিল পড়ার জন্যে। ঐ নাবিক ইসলামের ইতিহাস সম্বন্ধে কিছুই জানতনা, কিন্তু আগ্রহ নিয়ে কুরআন পড়ল। সে পড়া শেষ করে উক্ত মুসলিমের কাছে বইটা ফিরিয়ে দেবার সময় জিজ্ঞেস করল ,“এই মুহাম্মাদ (সাঃ) লোকটা কি কোন নাবিক ছিল?” কুরআন কি নিঁখুতভাবে সমুদ্রের ঝড়ের বর্ণনা দিয়েছে তা দেখে সে খুবই মুগ্ধ হয়েছিল। যখন তাকে বলা হলো ,“ না, মুহাম্মাদ সা. তো বাস করতেন মরুভূমিতে”, এ কথাই তার জন্যে যথেষ্ট হলো। সে তৎক্ষণাৎ ইসলাম কবুল করল।
কুরআনের বর্ণনায় সে এতটা মুগ্ধ হবার কারণ সে সমুদ্রে ঝড়ের সময়েও ছিল এবং সে জানত যে ঐ বর্ণনাটা যে লিখেছে সেও অবশ্যই ঝড়ের সময়ে সমুদ্রে ছিল। “তরঙ্গের উপর তরঙ্গ, যার উপরে ঘন কালো মেঘ” (সুরা আন নূর,২৪:৪০) কথাটি এমন কারো দ্বারা লেখা হয়নি যে সমুদ্রে ঝড় কেমন হতে পারে তার একটা কল্পনা মনে এঁকেছে বরং এটা এমন কেউ লিখেছে যে সত্যিই জানে সমুদ্রবক্ষে ঝড়ের রূপ কেমন। কুরআন যে স্থান ও কালের বন্ধনে আবদ্ধ নয় এটা তারই একটা উদাহরণ। নিশ্চিতভাবেই কুরআনে বিধৃত বৈজ্ঞানিক ধারণাবলি ১৪০০ বছর আগে মরুভূমি থেকে আবির্ভূত হয়েছে বলে মনে হবার কারণ নেই।
ক্ষুদ্রতর জিনিস (The Smallest Thing)
মুহাম্মাদ সা. এর নবুওয়্যাত প্রাপ্তির অনেক শতাব্দী আগে গ্রীক দার্শনিক ডেমোক্রিটাস প্রস্তাবিত “পরমাণুবাদ” (theory of atomism) নামে সুপরিচিত একটি তত্ত বিদ্যমান ছিল। সে এবং তার পরবর্তীতে মানুষ মনে করত পদার্থ পরমাণু নামে এক ক্ষুদ্র, অবিনশ্বর ও অবিভাজ্য কণা দ্বারা গঠিত। আরবদের ধারণাও অভিন্ন ছিল। এছাড়াও আরবী শব্দ ‘যাররা’ ( ذَرَّةٍ ) বলতে সাধারণত মানুষের জানা সবচেয়ে ছোট বস্তুকেই বোঝানো হতো। বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যে পদার্থের ক্ষুদ্রতম একককেও (অর্থ্যা ৎ পরমাণু-উপাদান হিসেবে যাতে সকল অভিন্ন বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে) তার উপাদান-বস্তুতে ভাঙ্গা যায় । এটা একটা নতুন ধারণা যা গত শতকে বিকাশ লাভ করেছে। তবুও মজার ব্যাপার হচ্ছে কুরআন আগেই এ কথার সপক্ষে বলে গেছে।
সুরা সাবা ( ৩৪:৩ )
وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لَا تَأْتِينَا السَّاعَةُ ۖ قُلْ بَلَىٰ وَرَبِّي لَتَأْتِيَنَّكُمْ عَالِمِ الْغَيْبِ ۖ لَا يَعْزُبُ عَنْهُ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ فِي السَّمَاوَاتِ وَلَا فِي الْأَرْضِ وَلَا أَصْغَرُ مِن ذَٰلِكَ وَلَا أَكْبَرُ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
কাফেররা বলে আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না। বলুন কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার শপথ-অবশ্যই আসবে। তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত। নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে তাঁর আগোচরে নয় অণু পরিমাণ কিছু, না তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং না বৃহৎ-সমস্তই আছে সুস্পষ্ট কিতাবে।
নি:সন্দেহে ১৪০০ শতক আগে এমনকি একজন আরবের কাছেও কথাটি অদ্ভূত ঠেকত। তার কাছে ‘যাররা’ ( ذَرَّةٍ ) মানে ছিল বিরাজিত ক্ষুদ্রতম কণা। এটা প্রকৃতই প্রমাণ করে কুরআন পুরাতন বা সেকেলে নয়।
মধু (Honey)
কেউ ‘পুরাতন বইটি’ তে পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করতে পারে এমন আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে কুরআনে আলোচিত চিকিৎসা বা প্রতিকার সেকেলে হওয়া। বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায় যে নবী করীম সা. স্বাস্হ্যবিধি সম্পর্কে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন। এ সত্বেও এসব উপদেশের বেশিরভাগই কুরআনে বর্ণিত হয়নি। প্রথমদৃষ্টিতে অমুসলিমদের কাছে মনে হবে এগুলো অবহেলায় বাদ পড়েছে। তারা বুঝতে পারেনা কেন আল্লাহ এমন সহায়ক তথ্য কুরআনে অর্ন্তভূক্ত করবেননা। কোন কোন মুসলিম নিম্নোক্ত যুক্তি দ্বারা এ অনুপস্হিতি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে:
যদিও নবী সা. এর উপদেশ তাঁর সময়কালের জন্যে উপযুক্ত ও প্রয়োগযোগ্য ছিল, আল্লাহ তাঁর অসীম জ্ঞানে জানতেন যে পরবর্তীতে চিকিৎসা ব্যাবস্থা এবং বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষের ফলে নবীর (সা.) কথা সেকেলে মনে হবে। পরবর্তী আবিষ্কারের ফলে মানুষ বলতে পারত নবী সা. যে তথ্যটা দিয়েছিলেন এটা তার সাথে মিলছেনা। কিন্তু আল্লাহ যেহতেু অমুসলিমদের কুরআনে নিজের সাথে বা হাদিসের সাথে বৈপরিত্য আছে এটা দাবী করবার সুযোগ দেবেননা তাই তিনি কুরআনে শুধু সেই তথ্যই সন্নিবেশ করেছেন যা সময়ের পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হতে পারে। যখন কেউ কুরআনের সত্যিকার বাস্তবতাকে ঐশী ওহীর আলোকে পরীক্ষা করে দেখে পুরো ব্যাপারটা তখন দ্রুতই সঠিক দৃষ্টিকোণ থেকে ধরা পড়ে এবং এ ধরণের যুক্তিপ্রদর্শনের অসারতা সুস্পষ্ট ও বোধগম্য হয়ে যায়।
এটা অবশ্যই বুঝতে হবে কুরআন ঐশী কিতাব আর এর সব তথ্য বস্তুতই খোদায়ী উৎস থেকে নির্গত। আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকেই কুরআন নাজিল করেছেন। এটা আল্লাহর এমন বাণী যা সৃষ্টির পূর্বেও বিদ্যমান ছিল। অতএব এতে আর কিছুই যোজন, বিয়োজন বা পরিবর্তন করা যাবেনা। সারকথায়, কুরআন মুহাম্মাদ সা. এর সৃষ্টিরও আগেই পুঙ্খানুপুঙ্খ রুপে বিদ্যমান ছিল। ফলে এতে কোনভাবেই নবী সা. এর কোন কথা বা পরামর্শ থাকতে পারেনা। এমন কিছু থাকলে সেটা কুরআন নাজিলের উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক হতো, এর স্বকীয়তার সাথে আপোষ হতো এবং এটা আসমানী কিতাব হিসেবে হতো ত্রুটিযুক্ত।
স্বাভাববিকভাবেই কুরআনে এমন কোন ঘরোয়া চিকিৎসার কথা নেই যেটাকে কেউ পুরানো বলতে পারে, স্বাস্হের পক্ষে কোন জিনিস উপকারী হতে পারে সে ব্যাপারে কিান মানবীয় মতামত এতে নেই, কোন খাবার খাওয়া ভালো বা কোন রোগ কীভাবে নিরাময় হবে এমন কিছুও নেই। রোগ প্রতিকারের ব্যাপারে কুরআন শুধু একটা জিনিসেরই উল্লেখ করেছে এবং সেটা একেবারেই অবিতর্কিত। কুরআন বলছে মধুতে আছে নিরাময়। আমি মনে করিনা কেউ এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে ।(ইন্টারনেট)