ইবনে যিয়াদের কর্তৃক কাবালার ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর ইয়াজিদ ইবনে যিয়াদকে নির্দেশ দিল, হোসাইন (আ.) এর মস্তক ও যারা তার সাথে নিহত হয়েছে তাদের কর্তিত মাথা ইমাম হোসাইন (আ.) এর বন্দী পরবিার-পরিজনসহ সিরিয়ায় পাঠিয়ে দাও। ইবনে যিয়াদ মাহফার বনি সা’লাবা আল আনেদীর নেতৃত্বে ইমাম হোসাইন (আ.) ও তার নিগত সঙ্গী-সাথীদের মাথা এবং বন্দী আহলে বাইত (আ.) কে সিরিয়ায় প্রেরণ করে। কাফির মুশরিক যুদ্ধবন্দীদেরকে যেমনিভাবে মুখমণ্ডল অনাবৃত করে রাখা হয় ঠিক তেমনিভাবে মিহফার বন্দী নবী-পরিবারকে সিরিয়ায় নিয়ে যায়।
মহানবীর (সা.) বন্দী পরিবার-পরিজনকে দড়িতে বেধে ইয়াজিদের দরবারে আনা হয় । ঠিক এ সময় ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.) বললেন,
أنْشِدُك اللّهُ يا يزيدُ، ما ظنُّك بِرسُولِ اللّهِ ص لوْ رآنا على هذِهِالصِّفةِ
“হে ইয়াজিদ, তোমাকে, খোদর নামে শপথ করে বলছি, মহানবী (সা.) সম্পর্কে তুমি কেমন ধারণা পোষণ কর, যদি তিনি আমাদেরকে এ অবস্থায় দেখতে পেতেন?” ইয়াজিদের নির্দেশে বন্দী নবী-পরিবারকে যে সব রশি দিয়ে বাধা হয়েছিল সেগুলো কেটে ফেলা হল। তারপর ইমাম হোসাইনের (আ.) পবিত্র মাথা ইয়াজিদের সামনে রাখা হয় এবং নবী-পরিবারের মহিলাদেরকে ইয়াজিদের পিছনে দাড় করানো হয় যাতে করে তারা ইমাম হোসাইনের (আ.) পবিত্র মাথা দেখতে না পান। কিন্তু ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.) এ দৃশ্য দেখে ফেললেন। হযরত যয়নাবও (আ.) এ দৃশ্য দেখে ফেললেন। হযরত যয়নবের (আ.) দৃষ্টি ইমাম হোসাইনের (আ.) কর্তিত মাথার দিকে পড়ামাত্রই দুই গ্রীবাদেশে হাত রেখে অতি করুণ স্বরে বলে উঠলেন, “ওয়া হেসাইনাহ (হায় হোসাইন), হায় রাসুলুল্লাহর (সা.) দৌহিত্র, হায় পবিত্র মক্কা ও পবিত্র মদীনার সন্তান, হায় ফাতেমা যাহরার সন্তান, হায় মুস্তাফার (সা.) দৌহিত্র।” হযরত যয়নবের (আ.) আহাজারি দেখে উক্ত সভায় যারাই উপস্থিত ছিল তাদের সবাই কেদে ফেললেন। এ সময় পাপিষ্ঠ ইয়াজিদ (তার উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক) চুপ করে ছিল। এ সময় বনী হাশিমের যে মহিলাটি ইয়াজিদের গৃহে বাস করত সে ইমাম হোসাইনের (আ.) জন্য শোক প্রকাশ করতে লাগল এবং উচ্চস্বরে বলতে লাগল, “ইয়া হাবীবাহ (হায় প্রিয় হোসাইন), হায় আহলে বাইতের নেতা, হায় হযরত মুহাম্মদের (সা.) দৌহিত্র, হায় অনাথদের আশ্রয় ও ভরসাস্থল, হায় খোদার শত্রুদের হাতে নিহত শহীদ।” যারাই তার ফরিয়াদ শুনতে পেল তারাই কাদতে লাগল। এরপর ইয়াজিদ খায়যুরান কাঠের নির্মিত একটি লাঠি আনার আদেশ দিল এবং সেই লাঠি দিয়ে সে ইমাম হোসাইনের (আ.) পবিত্র দাঁত ও ঠোটে আঘাত করতে লাগল। আবু বারযা আসলামী ইয়াজিদকে লক্ষ্য করে বললেন, “ইয়াজিদ তোমার জন্য আক্ষেপ, তুমি লাঠি দিয়ে হযরত ফাতেমার (আ.) পুত্র হোসাইনের (আ.) মুখে আঘাত করছ। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি মহানবীকে (সা.) হাসান ও হোসাইনের গালে চুম্বন করতে দেখেছি এবং তিনি (সা.) বলতেনঃ
أنْتُما سيِّدا شبابِ أهْلِ الْجنّة
“তোমরা দু’ভাই বেহেশতের যুবকদের নেতা। তোমাদের হত্যাকারীদেরকে আল্লাহ হত্যা করবেন ও অভিশাপ দিন এবং তোদেরকে নিকৃষ্ট বাসস্থান জাহান্নামে প্রবেশ করান। “ইয়াজিদ এ কথা শুনে অত্যন্ত ক্ষেপে গেল। পাপিষ্ঠ ইয়াজিদের নির্দেশে আবু বারযাহকে টেনে হিচড়ে দরবার থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনার পর ইয়াজিদ ইবনে যে’বারীর কবিতা আবৃত্তি করতে লাগল,
হায় আমার পূর্ব পুরুষেরা যারা বদরের যুদ্ধে নিহত হয়েছে তারা যদি আজ দেখতে পেত যে খাযরাজ গোত্র আমাদের তরবারীর আঘাতে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে কাদছে তখন তারা অত্যন্ত আনন্দিত ও উল্লাসি হত এবং বলত সাবাস হে ইয়াজিদ, তোমার শক্তি অটুট থাকুক। আমরা হাশেমী গোত্র প্রধানদেরকে হত্যা করেছি এবং তাদের থেকে বদরের যুদ্ধের প্রতিশোধ গ্রহণ করেছি। আমি যদি আহমদের কৃতকার্যের জন্য তারই বংশধরদের উপর প্রতিশোধই গ্রহণ না করি তাহলে আমি কি করে খিন্দিকের বংশধর হব?
(ইবনে যে’বারী কোরাইশ বংশীয় কাফির ছিল। তার আসল নাম আবদুল লাত। ইসরাম ধর্ম গ্রহণ করার পর মহানবী (সা.) তার নাম আব্দুল্লাহ রেখেছিলেন। ইবনে যে’বারী এ কবিতাটি উহুদের যুদ্ধে আবৃত্তি করেছিল। ‘নাসেখ’ গ্রন্থের রচয়িতা বলেন, “প্রথম ও দ্বিতীয় কবিতা ইবনে যে’বারীর রচিত। আর বাদ বাকী কবিতাসমূহ ইয়াজিদ কর্তৃক রচিত।)
হযরত যয়নাব (সা.আ.) এর ভাষণ
হযরত যয়নাব (আ.) ইয়াজিদের দরবারে দাড়িয়ে বললেনঃ
“সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর যিনি এ নিখিল বিশ্বের প্রভু। হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তার বংশরদের সকলের উপর মহান আল্লাহর দরুদ ও সালাম। মহান আল্লাহ সত্য বলেছেন, “যারা মন্দ কাজ এবং অপরাধ করেছে তাদের পরিণাম হচ্ছে এটাই যে তারা মহান আল্লাহর নিদর্শনসমূহ অস্বীকার ও মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে এবং সেগুলো উপহাস ও ঠাট্টার বিষয়বস্তুতে পরিণত করেছে। হে ইয়াজিদ, যেহেতু এ প্রশস্ত পৃথিবী ও আকাশকে আমাদের জন্য সংকীর্ণ করে দিয়েছিস। আমাদেরকে যুদ্ধ বন্দীদের মত এক শহর থেকে অন্য শহরে নিয়ে যাচ্ছিস এতে করে তুই ভাবাছিস যে আল্লাহর কাছে আমরা অপদস্থ ও লাঞ্ছিত হয়েছি এবং খোদার কাছে তোর মর্যাদা বেড়ে গেছে? এ কারণেই কি তুই এত গর্ব করছিস? তোর পার্থিব জীবন নিরাপদ ও তোর সাম্রাজ্য এবং রাজত্ব সুদৃঢ় হয়েছে মনে করে তুই আজ উল্লসিত ও আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিস? এত তাড়াহুড়া করিস নে। তুই কি মহান আল্লাহর বাণী “যারা কুফরী করেছে তারা যেন অবশ্যই মনে না করে যে কয়দিনের সুযোগ তাদেরকে দেয়া হয়েছে তা তাদের সৌভাগ্যের সূচনা করেছে । না, আসলে ব্যাপারটা ঠিক এরকম নয়। বরং এ সুযোগ তাদের পাপ ও অপরাধকে আরো বাড়িয়ে দেবে। এ কারণে তাদের জন্য পরকালে ভয়ঙ্কর শাস্তি রয়েছে।”-ভুলে গিয়েছিস? হে তুলাকাদের সন্তান (মক্কা বিজয়ের পর বনী উমাইয়া গোত্র মহানবী (সা.) কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত (তুলাকা) বলে অভিহিত হত) নিজের স্ত্রী, দাসী ও মহিলাদেরকে পর্দাবৃত করে রেখেছিস আর মহানবীর (সা.) কন্যাদেরকে মুখমণ্ডল খোলাবস্থায় এবং অনাবৃত করে শত্রুদের সাথে এক শহর থেকে অন্য শহরে ঘুরাচ্ছিস অথচ তাদেরকে এ ঘোর দুর্দিনে সহায়তা করতে পারে এমন লোকেরা কেউ বেচে নেই- এটা কি ন্যায় বিচার ও ন্যায়পরায়ণতার নমুনা? যে ব্যক্তি মুক্তমনা মহামানবদের কলিজা দাত দিয়ে কামড়ায় (উহুদের যুদ্ধে মুয়াবিয়ার মা হিন্দা মহানবীর চাচা হযরত হামযার যকৃত মুখে নিয়ে খেতে চেয়েছিল) এবং শহীদদের রক্তে যার অস্থি ও মাংসপিণ্ড হয়েছে তার কাছে কি দয়া ও মায়ার আশা করা সম্ভব?!! যে আমাদের সাথে সবসময় শত্রুতা পোষণ করে সে কেন আমাদের সাথে শত্রুতা করা থেকে বিরত থাকবে? আদৌ এটা কি সম্ভব? এখন যে ব্যক্তি শক্তি ও মদমত্ততায় নিমগ্ন সে কিভাবে নিজের পাপ ও অপরাধের কথা ভাববে? ক্ষমতার দর্পে ও অহংকারে নেশাগ্রস্থ হয়ে তুই এখন লাঠি দিয়ে বেহেশতের যুবকদের নেতা হোসাইন (আ.) এর দাতে আঘাত করছিস আর প্রকাশ্যে আবৃত্তি করছিস ।
তোর পক্ষেই এ ধরনের উক্তি আর এ ধরনের কবিতা আবৃত্তি করা শোভা পায়। কারণ তোর হাত মহানবীর (সা.) বংশধরদের রক্তে রঞ্জিত। মর্তের উজ্জ্বল নক্ষত্রদেরকে যারা আব্দুল মুত্তালিবের বংশধর ছিলেন তুই তাদেরকে ধ্বংস করেছিস। আর এ কাজ করে আসলে তুই নিজের মৃত্যু ও দুর্ভাগ্য ডেকে এনেছিস। এখন তুই তোর মৃত পূর্ব পুরুষদেরকে ডাকছিস আর ভাবছিস যে তারা তোর কথা শুনতে পাচ্ছে। কিন্তু তুই জেনে রাখিস অচিরেই তুইও তাদের সাথে মিলিত হবি। আর তখনই তুই বুঝতে পারবি এবং আশা করবি হায় আমার দু’হাত যদি অক্ষম হত এবং আমি যদি বোবা হতাম। আর যে জঘন্য কথা বলেছি তা যদি না বলতাম। যে অন্যায় করেছি তা যদি না করতাম। এখানে হযরত যয়নাব অভিশাপ দিয়ে বললেনঃ “হে সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের সাথে যারা অত্যাচার করেছে তাদের উপর তুমি প্রতিশোধ গ্রহণ কর। তাদের কাছ থেকে আমাদের হক যা তারা আামদের থেকে কেড়ে নিয়েছে তা উদ্ধার কর এবং তাদেরকে দোযখের আগুনে দগ্ধ কর।”
এরপর তিনি ইয়াজিদকে লক্ষ্য করে বললেন, “হে ইয়াজিদ এ গর্হিত কাজ করে তুই নিজের চামড়া নিজেই তুলে ফেলেছিস এর নিজের দেহকে খণ্ডিত খণ্ডিত করেছিস (নবী বংশকে হত্যা করে তুই আসলে নিজেকেই বধ করেছিস)। আর অচিরেই তুই মহানবীর (সা.) বংশধরদেরকে হত্যা ও অপদস্থ করে পাপের যে মহাভারী বোঝা ঘাড়ে বহন করেছিস তা নিয়ে মহানবীর সামনে উপস্থিত হবি। সেদিন আল্লাহ মহানবীর (সা.) বংশধরদেরকে (যাদের তুই হত্যা করেছিস) একত্রিত করে তাদের হৃত অধিকার আদায় করবেন এবং প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন। তুই ভাবিস না যে, যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তারা মৃত,
ولا تحْسبنّ الّذِين قُتِلُوا فِي سبِيلِ اللّهِ أمْواتًا بلْ أحْي أ عِنْد ربِّهِمْ يُرْزقُون
যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদেরকে মৃত মনে করনা বরং তারা জীবিত ও মহান আল্লাহর কর্তৃক রিযিকপ্রাপ্ত। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং-১৬৯) আর ঐ দিন মহান আল্লাহ বিচার করবেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) তোর থেকে প্রতিশোধ নিবেন এবং আল্লাহর ফেরেশতা জিব্রাইল (আ.) তাকে (সা.) সাহায্য করবেন। যে সব লোক তোকে সিংহাসনে বসিয়েছিল তারা অচিরেই বুঝতে পারবে যে কত মন্দ, নিকৃষ্ট ও অত্যাচারীকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছিল। আর তোদের মধ্য থেকে কোন ব্যক্তি যে সবচে হতভাগা তাও তারা জানতে পারবে। সময়ের চাপে পড়ে আমাকে যদিও তোর সাথে কথা বলতে হচ্ছে তারপরও আমি তোকে তুচ্ছ বলেই মনে করি এবং আমি জানি যে তোকে তিরস্কার করা আসলে পছন্দনীয় কাজ। হায় ! নয়নগুলো থেকে অশ্রু ঝরছে আর বক্ষগুলো দুঃখের আগুনে দগ্ধ হচ্ছে। আহ এটা ভাবতে কত অবাক লাগছে যে, আল্লাহর সৈন্যরা শয়তানের সৈন্যদের হাতে নিহত হচ্ছে। আমাদের রক্ত এদের হাত দিয়ে ঝরছে এবং বধ্যভূমিতে আজ শৃগাল-নেকড়ের খাদ্যে পরিণত হয়েছে!! বুনো পশুগুলো ঐসব পবিত্র মৃতদেহগুলোকে মাটির সাথে পদদলিত করেছে। হে ইয়াজিদ আজ আমাদেরকে বাহ্যত পরাজিত করে আমাদেরকে গনীমতের সম্পদ বলে মনে করছিস। তাহলে জেনে রাখ অচিরেই তোকে একাজের পরিণাম ভোগ করতে হবে। আর যা তুই পরকালের জন্য অগ্রিম পঠিয়েছিস কেবল সেটুকু ছাড়া আর কিছুই তোর থাকবে না। মহান আল্লাহ বান্দাদের প্রতি জুলুম করেন না। আমরা কেবল তারই সমীপে আমাদের অভিযোগ উত্থাপন করব এবং তিনিই আমাদের আশ্রয়স্থল। হে ইয়াজিদ, তুই তোর ঘৃণ্য অপতৎপরতায় ব্যস্ত থাক এবং সব ধরনের ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতা করে যা। তারপর খোদার কসম করে বলছি, তুই আমাদের নাম কখনো মুছে ফেলতে পরবি না। আমাদের রসূলের ওহীকে স্তব্ধ ও ধ্বংস করতে পারবি না এবং তোর নিজের পাপ থেকেও রেহাই পাবি না। কারণ তোর বিবেক বুদ্ধি বিকারগ্রস্থ। তোর আয়ুষ্কালও সীমিত। তোর সংগী-সাথীরা অবশ্যই ছত্রভঙ্গ হয়ে যাবে। যেদিন আহ্বানকারী যখন বলতে থাকবে, “খোদার অভিশাপ অত্যাচারীদের উপর বর্ষিত হোক।” ঐ আল্লাহর সমস্ত প্রশংসা যিনি আমাদের ভাগ্যকে সৌভাগ্য ও ক্ষমার দ্বারা আরম্ভ করেছেন এবং তা শাহাদাত ও রহমত প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে সমাপ্ত করেছেন।
আমারা মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি যেন তিনি আমাদের শহীদদের উপর তার নেয়ামতসমূহ পূর্ণ করে দেন এবং তাদেরকে উত্তম পুরস্কার দান করেন এবং আমাদেরকে তাদের যোগ্য উত্তরসূরি করে দেন। কারণ তিনিই পরম দাতা ও দয়ালু। মহান আল্লাহই আমাদের সর্বোত্তম আশ্রয়স্থল।” ইয়াজিদ হযরত যয়নাবের এ ভাষণ শোনার পর বলল,
বিলাপকারিণীদের বিলাপ ও কান্নার ধ্বনি কত পছন্দনীয়!! শোকগ্রস্থ বিলাপকারিণী মহিলাদের জন্য মৃত্যুবরণ করা কত সহজ!! এরপরই ইয়াজিদ সিরীয় নেতাদের সাথে বন্দী আহলে বাইতের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে সে ব্যাপারে শলা-পরামর্শ করল। তারা আহলে বাইতকে হত্যা করার পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করল। তবে নু’মান বিন বাশীর এ সময় বলল, “আমাদেরকে দেখতে হবে যে মহানবী (সা.) বন্দীদের সাথে কেমন আচরণ করেছেন। তিনি (সা.) যে রকম আচরণ করে থাকবেন ঠিক সেরকমই তোমাকে করতে হবে।”