মুসলিম উম্মার মধ্যে বিভেদ ও অনৈক্যের প্রচেষ্টা
  • শিরোনাম: মুসলিম উম্মার মধ্যে বিভেদ ও অনৈক্যের প্রচেষ্টা
  • লেখক:
  • উৎস:
  • মুক্তির তারিখ: 20:3:42 1-9-1403

মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এমন এক জরুরী বিষয় যা ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির গভীরে প্রোথিত। ঐতিহাসিক এ বাস্তবতার অসীম গুরুত্ব সম্পর্কে পবিত্র কোরআন তথা মহান আল্লাহ ও তাঁর সর্বশেষ রাসূল বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বার বার মুসলমানদের সতর্ক করেছেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, “তোমরা আল্লাহর রজ্জু শক্ত করে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।”
বিশ্বনবী (সাঃ)’র পর মুসলিম উম্মাহর সর্বজনমান্য অন্য মহাপুরুষ বা ধর্মীয় নেতারাও ইসলামী ঐক্য ও সহিষ্ণুতার দিকে মানুষকে আহ্বান করেছেন। বর্তমান যুগে পাশ্চাত্যের উপনিবেশকামী শক্তিগুলো মুসলিম দেশগুলোর ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও তাদের সম্পদ লুণ্ঠনের সর্বাত্মক চেষ্টায় লিপ্ত। আর এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তারা অতীতের মতোই মুসলমানদের মধ্যে মাজহাবগত পার্থক্যসহ ভাষা, বর্ণ, গোত্র ও অন্যান্য পার্থক্যের ভিত্তিতে বিভেদ বা সংঘাত উশকে দেয়ার চেষ্টা করছে। তাই এই যুগে ইসলামী ঐক্য অতীতের চেয়েও বেশী জরুরী হয়ে পড়েছে।
দুঃখজনকভাবে মুসলমানদের মধ্যে এমন অনেক ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্ন ফের্কা বা গ্রুপ রয়েছে যারা মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিচালিত প্রচার-প্রপাগান্ডায় প্রভাবিত হয়েছেন। বর্তমান বিশ্বের পরিস্থিতি সম্পর্কে অসচেতন এইসব ব্যক্তিত্ব ও গ্রুপ তাদের কর্মতৎপরতার মাধ্যমে পরোক্ষভাবে ইসলামের শত্রুদের সেবা করে যাচ্ছেন। পাশ্চাত্যের উপনিবেশকামীরাই যে ইসলামের আসল শত্রু এবং তারা যে মুসলমানদের ওপর শোষণ ও নির্যাতন চালিয়ে আসছে সে ব্যাপারে এইসব ব্যক্তিত্ব ও গ্রুপের যেন কিছুই করণীয় নেই বা এ ব্যাপারে তারা যেন গভীর ঘুমে অচেতন!
আসলে এক শ্রেণীর মুসলমানের অসচেতনতা, অজ্ঞতা ও অন্য মুসলিম ভাইদের ব্যাপারে অন্ধ বিদ্বেষের কারণে ইসলাম যুগে যুগে মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। আর বিভেদ ও অনৈক্যের এ সুযোগে বিজাতীয় ও লুটেরা শক্তি মুসলমানদের ওপর কর্তৃত্ব করেছে। এক্ষেত্রে শিয়া মাজহাবের অনুসারী মুসলমানরাও বিভিন্ন যুগে ও সময়ে বার বার উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে অবমাননার শিকার হয়েছেন। অথচ শিয়া মুসলমানরাও অন্য সব মুসলমানের মতই এক আল্লাহ ও তাঁর সর্বশেষ রাসূল, পবিত্র কোরআন এবং অন্য যেসব বিষয়ের প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস রাখা একজন প্রকৃত মুসলমানের জন্য জরুরী সেসব বিষয়ে ঈমান রাখেন। অন্যদের মতো শিয়া মুসলমানরাও ইসলাম ও একত্ববাদের প্রচার-প্রসার ঘটাতে সচেষ্ট।
সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ও বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রসারণকামী নীতিগুলো ব্যর্থ হওয়ায় হোয়াইট হাউজ মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা জোরদার করেছে। আর এ লক্ষ্যে শিয়া ও সুন্নী মুসলমানদের মধ্যে পরস্পর সম্পর্কে সন্দেহ বা অবিশ্বাস সৃষ্টির মাধ্যমে শিয়া-সুন্নী সংঘাত বাধানো হোয়াইট হাউজের অন্যতম কর্মসূচী। বছর দুই তিনেক আগে এ কর্মসূচীর আওতায় জর্দানের মতো কোনো কোনো আরব দেশ মধ্যপ্রাচ্যে শিয়া ক্রিসেন্ট বা শিয়াদের আধিপত্যের বলয় সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছে। সুন্নী মুসলমানদের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির জন্য এই বিশেষ অঞ্চল বা প্রভাব-বলয়কে ব্যবহার করা হবে বলে তারা দাবী করেছেন। কিন্তু খুব অল্প সময় পরই এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, এই ভিত্তিহীন অভিযোগ পাশ্চাত্যের সরকারগুলোর একটা প্রচারণা মাত্র। কোনো একটি অঞ্চলে শিয়া মুসলমানদের সক্রিয় বা জোরদার উপস্থিতির অর্থ এ নয় যে তারা সুন্নী ভাইদের মোকাবেলার জন্য সংগঠিত হচ্ছেন। এ ছাড়াও ইরান ও লেবাননের শিয়া মুসলমানসহ শিয়া আলেমরা সব সময়ই অভিন্ন শত্রুর মোকাবেলায় মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে কাতারের নাগরিকত্বধারী মিশরীয় আলেম শেখ ইউসুফ কারজাওয়ি শিয়া মুসলমানদের প্রতি কিছু অপবাদ দিয়েছেন। তিনি মিশরের মিসরী আল ইওয়াম নামের একটি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শিয়া মুসলমানরা বেদাআতপন্থী বা কূপ্রথার প্রচলনকারী এবং তারা এই মাজহাব ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। এ ছাড়াও তিনি মাজহাবী বা ধর্মীয় বিভেদ ছড়াতে অভ্যস্ত আলজাজিরা টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। ইরানের ইসলামী ও বিপ্লবী সরকার শিয়া মাজহাবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে বলে জনাব কারজাওয়ি দাবী করেন। পবিত্র রমজান মাসে কারজাওয়ির মতো একজন আলেমের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ উত্থাপন ছিল অপ্রত্যাশিত। কারণ, তিনি নিজেকে মুসলমানদের মধ্যে ও ইসলামী মাজহাবগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার সমর্থক বলে দাবী করে থাকেন এবং তিনি বিশ্ব ওলামা সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। বিশ্ব ওলামা সমিতির সেক্রেটারি এবং মুসলিম মাজহাবুগলোকে ঘনিষ্ঠ করা বিষয়ক সংস্থার মহাসচিব আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ আলী তাসখিরি শেইখ কারজাওয়ির এসব অভিযোগের ব্যাপারে বলেছেন,
২০০৬ সালের জুলাই মাসে ইহুদিবাদী ইসরাইল লেবাননের হিজবুল্লাহর হাতে পরাজিত হবার পর সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো শিয়া ও সুন্নী মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা জোরদার করেছে। দুঃখজনকভাবে শেইখ কারজাওয়ি এসব বিভেদকামী প্রচারণায় প্রভাবিত হয়েছেন।
আয়াতুল্লাহ তাসখিরি ছাড়াও অন্যতম প্রখ্যাত শিয়া আলেম আয়াতুল্লাহ জাফর সোবহানী শিয়া মুসলমানদের ব্যাপারে শেইখ কারজাওয়ি’র অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি ঐক্য ও মধ্য-পন্থা গ্রহণ করতে শেইখ কারজাওয়ি’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আয়াতুল্লাহ জাফর সোবহানী শেইখ কারজাওয়ি’র কাছে পাঠানো চিঠির একাংশে লিখেছেন, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতার আলোকে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে আমরা এটা প্রত্যাশা করছি যে তারা মুসলিম মাজহাবগুলোর অভিন্ন বিষয়ের ওপর জোর দেবেন এবং মতপার্থক্যের বিষয়গুলোকে উপেক্ষা করবেন, কিংবা এ ধরনের মতপার্থক্যের বিষয়গুলোকে রাজনৈতিক হৈ-চৈ থেকে দূরে ও কেবল বিশেষজ্ঞ মহলের আলোচনায় উত্থাপন করবেন যাতে মতপার্থক্যের ইন্ধন কমে আসে।
ফেক্বাহ বা ইসলামী আইনশাস্ত্রসহ ঐতিহাসিক কোনো কোনো বিষয়ে শিয়া ও সুন্নী মুসলমানদের মধ্যে কিছু মতভেদ থাকলেও সেগুলো বড় ধরনের বা মৌলিক কোনো মতপার্থক্য নয়। তাই এসব পার্থক্যকে অজুহাত করে অশান্তি সৃষ্টির কোনো অবকাশ নেই। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের বিভিন্ন আলোচনা সভায় বা সেমিনারে মুসলিম মাজহাবগুলোর মতভেদ কিংবা যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি নিয়ে কথা হতে পারে এবং এসব আলোচনার মাধ্যমে অভিন্ন অবস্থানে বা সমঝোতায় পৌঁছা সম্ভব।
শেইখ কারজাওয়ি দাবী করেছেন যে, শিয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সুন্নী ভাইয়েরা হুমকীর সম্মুখীন এবং ইরান প্রচারণার মাধ্যমে শিয়া মাজহাবের বিস্তার ঘটাচ্ছে! আধুনিক যুগে বাক-স্বাধীনতা ও চিন্তার স্বাধীনতা একটি মূল নীতি হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত বিষয়। প্রত্যেক মাজহাবই নতুন তথ্য-প্রযুক্তি বা মাধ্যম ব্যবহার করে নিজের বিশ্বাসের কথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার ব্যাপারে স্বাধীন। কিন্তু এটা স্পষ্ট যে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান ইসলাম ধর্মের বাণী প্রচার করছে এবং ইসলামের চেহারাকে কলংকিত করার জন্য পাশ্চাত্যের ষড়যন্ত্রগুলোর মোকাবেলায় ইসলামের পক্ষে ভূমিকা রাখছে। এ ছাড়াও বিশ্বের আলেম সমাজ ও চিন্তাবিদরা এটা ভালো করেই জানেন যে, ইরান সব সময়ই মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার ওপর জোর দিয়ে আসছে।
অন্যদিকে কোনো কোনো ব্যক্তি বা সরকার অত্যন্ত উগ্র পন্থায় ও অবমাননাকর উপায়ে শিয়া মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শিয়া-সুন্নী বিরোধ উসকে দেয়ার চেষ্টা করছে। কোনো কোনো ধর্মান্ধ ব্যক্তি শিয়া মুসলমানদেরকে কাফের এমনকি তাদেরকে হত্যা করা বৈধ বলেও প্রচার করছেন। অথচ পবিত্র কোরআনের বাণী অনুযায়ী নিরপরাধ কোনো মানুষকে হত্যা করা অত্যন্ত গর্হিত, নোংরা ও পরিত্যাজ্য কাজ এবং এ ধরনের অপরাধী জাহান্নামের বাসিন্দা হবে।
আয়াতুল্লাহ জাফর সোবহানী শেইখ কারজাওয়ি’র কাছে পাঠানো চিঠির একাংশে আরো লিখেছেন, আপনি সুন্নী মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চলে শিয়া মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধিকে সুন্নী ইসলামের জন্য বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন। কিন্তু আপনি কি এটা জানেন যে, সৌদী আরব ও আমীরাতে এমন কোনো দিন নেই যেদিন শিয়া মুসলমানদের বিরুদ্ধে বই বা পুস্তিকা লেখা হচ্ছে না? দুঃখজনকভাবে আপনি যেসব অভিযোগ করেছেন এসবই অতীতের অভিযোগের পুনরাবৃত্তি এবং বহুবার এসব অভিযোগের জবাব দেয়া হয়েছে।
যারা শিয়া মুসলমানদের কাফের বলার মতো নির্বুদ্ধিতা দেখাচ্ছেন তারা হয়তো এটা জানেন না যে, ১৯৫৯ সালে মিশরের আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয় শিয়া মাজহাবকে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান মাজহাব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
অনেক বিশ্লেষক বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে শিয়া মুসলমানদের সাফল্য মুসলিম যুব সমাজকে তাদের দিকে আকৃষ্ট করেছে। ইরানের ইসলামী বিপ্লব আধিপত্যকামী শক্তিগুলোর ওপর আঘাত হানার পাশাপাশি মুসলমানদের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সাথে দ্বন্দ্বে ইরান ও লেবাননের শিয়া মুসলমানদের সাফল্য মুসলিম বিশ্বের এবং ইসলামেরই সম্মান বৃদ্ধি করেছে। হিজবুল্লাহর হাতে দুই বছর আগে ইহুদিবাদী ইসরাইলের লজ্জাজনক পরাজয় এর অন্যতম উজ্জ্বল প্রমাণ। অথচ অন্য আরব দেশগুলো দখলদার ইসরাইলকে প্রতিরোধের কথা তো ভাবছেই না বরং ফিলিস্তিনীদেরকে ইসরাইলের সাথে আপোসে লিপ্ত হতে বাধ্য করতে চাইছে। এটা স্পষ্ট যে মুসলিম বিশ্বের জনগণ বোকা নয় এবং অসচেতনও নয়। তারা বাস্তবতাকে খুব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আর এ জন্যেই মুসলিম বিশ্বে হিজবুল্লাহ ও তার নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরব বিশ্বসহ মুসলিম বিশ্বের জনগণ জনাব নাসরুল্লাহকে ইসরাইলী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামের আদর্শ বলে মনে করছেন।
শেইখ কারজাওয়ি’র বিভেদকামী মন্তব্যে আহত হয়েছেন অনেক সুন্নী চিন্তাবিদ ও আলেম। উম্মাহর ঐক্যে বিশ্বাসী বিশিষ্ট মিশরীয় লেখক ডক্টর ফাহমি হোবাইদি এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, শেইখ কারজাওয়ি’র বক্তব্য মুসলিম বিশ্বের দুটি ধারাকে তুলে ধরছে, একটি ধারা জাতীয়তাকে সমর্থন করছে, অন্যটি ইসলামী উম্মাহকে সমর্থন করছে। শিয়া মুসলমানদের প্রতি হামলা মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য আরও বৃদ্ধি করবে বলে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন। তারেক আল বাশিরী নামের অন্য একজন মিশরীয় চিন্তাবিদ আদ্দাস্তুর পত্রিকায় শেইখ কারজাওয়ি’র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন। শেইখ আলী আল কুরানীর মতে, শেইখ কারজাওয়ির পুত্র শিয়া মাজহাব গ্রহণ করাতেই তিনি শিয়া মুসলমানদের ওপর এভাবে ক্ষিপ্ত হয়েছেন। সৌদী দৈনিক আররিয়াদের সম্পাদক তুর্কী আসসাদিরি শেইখ কারজাওয়ি’র বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, সৌদী আরবের মুসলমানরা এ ধরনের প্রবণতা এবং অবিবেচনাসূলভ বক্তব্য ও চিন্তাধারার বিরোধী।
যা-ই হোক, বিভেদকামী কিছু বিক্ষিপ্ত বক্তব্য ও পদক্ষেপ সত্ত্বেও ইসলামী জাগরণের জোয়ার মুসলমানদেরকে অভিন্ন শত্রুদের মোকাবেলায় ঐক্য ও সংহতির দিকেই আকৃষ্ট করছে এবং তাদের সচেতনতা বিভেদকামী প্রচেষ্টাগুলো নস্যাত করছে।(ইন্টারনেট)