ইরানে সংঘটিত ইসলামী বিপ্লব ইতিহাসের এক অবিশ্বাস্য গণ-বিপ্লব। এ বিপ্লব আধুনিক যুগেও শাহাদতের বীরত্ব-গাঁথা ও আধ্যাত্মিকতার ঔজ্জ্বল্যে ভাস্বর অনন্য এক বিপ্লব। এ মহাবিপ্লবের রূপকার মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ)'র আবির্ভাব ও সাফল্য কিংবদন্তী বা রূপকথার নায়কের সাফল্যকেও হার মানায়। আলবুর্জের চুড়ার নীচে তাঁর আহ্বানে প্রতিফলিত হয়েছিল নবী-রাসূলগণের প্রদর্শিত মহামুক্তি ও সৌভাগ্যের চিরন্তন আহ্বান তথা প্রকৃত ইসলামের শাশ্বত আবেদন। তাই তার এ আহ্বানে সাড়া দিয়েছিল সর্বস্তরের ইরানী জনগণ এবং তিনি তাদের অবিসম্বাদিত পথ প্রদর্শক ও প্রাণপ্রিয় কান্ডারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। আসলে তিনি কেবল ইরানী জাতির দিশারী হিসেবে নন, একইসাথে বিশ্বের সমস্ত মুক্তিকামী জাতির মুক্তির দিশারী হিসেবে তাদের হৃদয়ের মনি-কোঠায় স্থায়ী আসন করে নিয়েছিলেন ।
পাশ্চাত্যের বিশ্লেষকরা অলৌকিক এই ইমামের সাফল্যকে স্বীকৃতি দিতে গিয়ে বলেছেন, একজন উঁচু পর্যায়ের ধর্মতত্ত্ববিদ একজন প্রকৃত রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে রাজনীতিবিদদেরও চেয়েও বেশী শক্তিমান বা প্রভাবশালী হবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। বিপ্লবের উত্তাল দিনগুলোতে লন্ডনের দৈনিক টাইমস লিখেছে, "ইমাম খোমেনী তার কথার মাধ্যমে জনগণকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি জনগণের সাথে অত্যন্ত সাদামাটা ভাষায় কথা বলেন এবং নিজের সমর্থকদের মধ্যে আত্ম-বিশ্বাস সৃষ্টি করেন। তিনি জনগণের কাছে এটা প্রমাণ করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের মত শক্তির বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়ানো যায় ও এ ধরনের শক্তিকে ভয় করার কিছুই নেই।"
ফ্রান্সের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, তাত্ত্বিক ও দার্শনিক মিশেল ফুকো বলেছেন, "আয়াতুল্লাহ খোমেনী'র ব্যক্তিত্ব কিংবদন্তী বা রূপকথার তুল্য। কোনো সরকার-প্রধান ও রাজনৈতিক নেতা নিজ নিজ দেশের সমস্ত গণমাধ্যমের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়েও জনগণের সাথে এত গভীর ও শক্তিশালী সম্পর্ক রাখার দাবী করতে পারবেন না। "
মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ) ছিলেন একাধারে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা এবং একজন দূরদর্শী সংস্কারক । তিনি তার লক্ষ্যে ছিলেন সব সময় অবিচল। নবী-রাসূলের প্রদর্শিত পথ ধরে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি সংগ্রাম শুরু করেছিলেন বিপ্নবের বহু বছর আগে। তাই স্বাধীনতা, ন্যায়-বিচার ও পবিত্রতার ব্যাপারে তার বিপ্লবী আহ্বান কেবল ইরানের গন্ডীতে সিমীত ছিল না। ইসলামের এই মূল্যবোধগুলোকে তিনি যেভাবে তুলে ধরেছেন তাতে সারা বিশ্বের মুক্তিকামী জনতার মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছে অপূর্ব আলোড়ন, সচেতনতা, গতিশীলতা ও পূনর্জাগরণ।
মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ) ছিলেন খোদামুখী চেতনা ও প্রবল আত্মবিশ্বাসের দিশারী। এ প্রসঙ্গে মার্কিন সমাজতত্ত্ববিদ এলভিন টফলার বলেছেন, " আয়াতুল্লাহ খোমেনী বিশ্বকে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন যে, এখন থেকে কেবল বিশ্বের বড় বড় শক্তিগুলোই বিশ্ব-রাজনীতির প্রধান খেলোয়াড় নয়, বরং প্রত্যেক জাতিই সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। আয়াতুল্লাহ খোমেনী আমাদের কাছে এটাও বলে গেছেন যে, যেসব শক্তি বিশ্বকে তাদের কর্তৃত্বাধীন মনে করছে তাদের এ ধরনের কর্তৃত্ব করার কোনো অধিকার নেই।"
ইরানের ইসলামী বিপ্লব আধুনিক যুগের সবচেয়ে বড় চিন্তাগত ও আধ্যাত্মিক বিপ্লব। প্রচলিত অন্যান্য বিপ্লবের তুলনায় এ বিপ্লবের রয়েছে অনেক বেশী বিস্ময়কর বা অভিনব দিক। ফলে সমাজ ও রাজনৈতিক বিষয়ের গবেষকরা ইরানের ইসলামী বিপ্লবের তিন দশক পরও এ বিপ্লব নিয়ে গবেষণায় মশগুল রয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাশ্চাত্যের সরকার এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম ও প্রচারমাধ্যমগুলো এমন অসত্য ধারণা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে যে, ইরানের ইসলামী বিপ্লবের সমাপ্তি ঘটেছে এবং দেশটির ইসলামী সরকার অচল ও অক্ষম হয়ে পড়েছে।
আসলে তিন দশক পর চতুর্থ দশকে এসে জননন্দিত ইরানের ইসলামী বিপ্লব এখন অতীতের চেয়ে অনেক গুণ বেশী শক্তিশালী এবং পরিপূর্ণতার দিকে এর অগ্রযাত্রা দূর্বার গতিতে অব্যাহত রয়েছে । কারণ, অতীতের মত এখনও জনগণ এই বিপ্লবের অন্যতম প্রধান সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষক। ইসলাম ও জনগণের শক্তির বলেই এ বিপ্লব গত ত্রিশ বছরে একে একে অতিক্রম করে গেছে বাধা-বিপত্তির অনেক বিন্দ্যাচল। ইরানের ইসলামী বিপ্লবের বর্তমান কান্ডারী হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীও একজন দূরদর্শী, অবিচল ও অসম-সাহসী ব্যক্তিত্ব। তিনি ইরানের মুসলিম জাতির প্রতি স্থায়ী পথ নির্দেশনা দিতে গিয়ে বলেছেন, "আমাদের জাতির পথ মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ)'র প্রদর্শিত সেই একই পথ, তথা বিপ্লবের পথ এবং পরাশক্তিগুলোর বলদর্পীতার মোকাবেলায় রুখে দাঁড়ানোর পথ। একইসাথে আমরা অতীতের মতই বিশ্বের মজলুম ও নিপীড়িতের পক্ষে এবং সারা বিশ্বে পবিত্র ইসলাম ও কোরআনের পতাকা উঁচু করে ধরার কাজ অব্যাহত রাখবো।"
ইরানের সাহসী ও প্রতিরোধকামী জাতি এখনও এই বিপ্লবের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক। ইসলামের আহ্বানে তারা আজো অতীতের মতই সব ক্ষেত্রেই সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পিছপা হচ্ছেন না। গত ত্রিশে ডিসেম্বর বা ১৩ ই মহররমে অনুষ্ঠিত দেশব্যাপী গণ-বিক্ষোভে কোটি জনতার অংশগ্রহণই এর বড় প্রমাণ। বর্তমান ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, "যতদিন পর্যন্ত কোনো জাতি তার প্রকৃত অধিকারকে দৃঢ় ঈমান, সচেতনতা ও অবিচলতা নিয়ে রক্ষা করবে ততদিন সেই জাতি মাথা উঁচু করে রাখতে সক্ষম হবে। "
ইরানের ইসলামী বিপ্লব অনেক নতুন সংস্কৃতি বা মূল্যবোধের জন্ম দিয়েছে। এই মহাবিপ্লব এ আদর্শ তুলে ধরেছে যে, রাজনীতি থেকে আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতাকে নির্বাসিত করা উচিত নয়। তাই রাজনীতিবিদ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদেরকে ন্যায়বিচারকামী, সৎ ও খোদাভীরু হতে হবে যাতে বিশ্বের সর্বত্র ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায়।
ইসলামের প্রাণসঞ্জীবনী শিক্ষায় উদ্দীপ্ত ইরানের ইসলামী বিপ্লব ফিরিয়ে এনেছে শাহাদতের ঐতিহ্য তথা হোসাইনী সংস্কৃতি। ইসলাম যে জীবনের সব ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম তা দেখিয়ে দিয়েছে এই বিপ্লব। স্পেনের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ অধ্যাপক কিলবাস বলেছেন, "ইরানের ইসলামী বিপ্লব ধর্মকে আবার জীবন দান করেছে। ফলে প্রাত্যহিক জীবনে আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য্যগুলো আবারো গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশ্ব পুনরায় মুক্তির আশায় ও সামাজিক সম্পর্কগুলোকে সুন্দর করার লক্ষ্যে পুনরায় ধর্মের শক্তি এবং আধ্যাত্মিক আকর্ষণের প্রতি প্রবলভাবে ঝুঁকে পড়েছে। ইমাম খোমেনী (রঃ)'র ধর্মীয় বিপ্লবের আহ্বানই বিশ্বের চিন্তাজগতে এতসব পরিবর্তন এনেছে।"(রেডিও তেহরান)
পাশ্চাত্যের বিশ্লেষকরা অলৌকিক এই ইমামের সাফল্যকে স্বীকৃতি দিতে গিয়ে বলেছেন, একজন উঁচু পর্যায়ের ধর্মতত্ত্ববিদ একজন প্রকৃত রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে রাজনীতিবিদদেরও চেয়েও বেশী শক্তিমান বা প্রভাবশালী হবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। বিপ্লবের উত্তাল দিনগুলোতে লন্ডনের দৈনিক টাইমস লিখেছে, "ইমাম খোমেনী তার কথার মাধ্যমে জনগণকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি জনগণের সাথে অত্যন্ত সাদামাটা ভাষায় কথা বলেন এবং নিজের সমর্থকদের মধ্যে আত্ম-বিশ্বাস সৃষ্টি করেন। তিনি জনগণের কাছে এটা প্রমাণ করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের মত শক্তির বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়ানো যায় ও এ ধরনের শক্তিকে ভয় করার কিছুই নেই।"
ফ্রান্সের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, তাত্ত্বিক ও দার্শনিক মিশেল ফুকো বলেছেন, "আয়াতুল্লাহ খোমেনী'র ব্যক্তিত্ব কিংবদন্তী বা রূপকথার তুল্য। কোনো সরকার-প্রধান ও রাজনৈতিক নেতা নিজ নিজ দেশের সমস্ত গণমাধ্যমের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়েও জনগণের সাথে এত গভীর ও শক্তিশালী সম্পর্ক রাখার দাবী করতে পারবেন না। "
মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ) ছিলেন একাধারে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা এবং একজন দূরদর্শী সংস্কারক । তিনি তার লক্ষ্যে ছিলেন সব সময় অবিচল। নবী-রাসূলের প্রদর্শিত পথ ধরে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি সংগ্রাম শুরু করেছিলেন বিপ্নবের বহু বছর আগে। তাই স্বাধীনতা, ন্যায়-বিচার ও পবিত্রতার ব্যাপারে তার বিপ্লবী আহ্বান কেবল ইরানের গন্ডীতে সিমীত ছিল না। ইসলামের এই মূল্যবোধগুলোকে তিনি যেভাবে তুলে ধরেছেন তাতে সারা বিশ্বের মুক্তিকামী জনতার মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছে অপূর্ব আলোড়ন, সচেতনতা, গতিশীলতা ও পূনর্জাগরণ।
মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ) ছিলেন খোদামুখী চেতনা ও প্রবল আত্মবিশ্বাসের দিশারী। এ প্রসঙ্গে মার্কিন সমাজতত্ত্ববিদ এলভিন টফলার বলেছেন, " আয়াতুল্লাহ খোমেনী বিশ্বকে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন যে, এখন থেকে কেবল বিশ্বের বড় বড় শক্তিগুলোই বিশ্ব-রাজনীতির প্রধান খেলোয়াড় নয়, বরং প্রত্যেক জাতিই সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। আয়াতুল্লাহ খোমেনী আমাদের কাছে এটাও বলে গেছেন যে, যেসব শক্তি বিশ্বকে তাদের কর্তৃত্বাধীন মনে করছে তাদের এ ধরনের কর্তৃত্ব করার কোনো অধিকার নেই।"
ইরানের ইসলামী বিপ্লব আধুনিক যুগের সবচেয়ে বড় চিন্তাগত ও আধ্যাত্মিক বিপ্লব। প্রচলিত অন্যান্য বিপ্লবের তুলনায় এ বিপ্লবের রয়েছে অনেক বেশী বিস্ময়কর বা অভিনব দিক। ফলে সমাজ ও রাজনৈতিক বিষয়ের গবেষকরা ইরানের ইসলামী বিপ্লবের তিন দশক পরও এ বিপ্লব নিয়ে গবেষণায় মশগুল রয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাশ্চাত্যের সরকার এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম ও প্রচারমাধ্যমগুলো এমন অসত্য ধারণা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে যে, ইরানের ইসলামী বিপ্লবের সমাপ্তি ঘটেছে এবং দেশটির ইসলামী সরকার অচল ও অক্ষম হয়ে পড়েছে।
আসলে তিন দশক পর চতুর্থ দশকে এসে জননন্দিত ইরানের ইসলামী বিপ্লব এখন অতীতের চেয়ে অনেক গুণ বেশী শক্তিশালী এবং পরিপূর্ণতার দিকে এর অগ্রযাত্রা দূর্বার গতিতে অব্যাহত রয়েছে । কারণ, অতীতের মত এখনও জনগণ এই বিপ্লবের অন্যতম প্রধান সমর্থক ও পৃষ্ঠপোষক। ইসলাম ও জনগণের শক্তির বলেই এ বিপ্লব গত ত্রিশ বছরে একে একে অতিক্রম করে গেছে বাধা-বিপত্তির অনেক বিন্দ্যাচল। ইরানের ইসলামী বিপ্লবের বর্তমান কান্ডারী হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীও একজন দূরদর্শী, অবিচল ও অসম-সাহসী ব্যক্তিত্ব। তিনি ইরানের মুসলিম জাতির প্রতি স্থায়ী পথ নির্দেশনা দিতে গিয়ে বলেছেন, "আমাদের জাতির পথ মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ)'র প্রদর্শিত সেই একই পথ, তথা বিপ্লবের পথ এবং পরাশক্তিগুলোর বলদর্পীতার মোকাবেলায় রুখে দাঁড়ানোর পথ। একইসাথে আমরা অতীতের মতই বিশ্বের মজলুম ও নিপীড়িতের পক্ষে এবং সারা বিশ্বে পবিত্র ইসলাম ও কোরআনের পতাকা উঁচু করে ধরার কাজ অব্যাহত রাখবো।"
ইরানের সাহসী ও প্রতিরোধকামী জাতি এখনও এই বিপ্লবের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক। ইসলামের আহ্বানে তারা আজো অতীতের মতই সব ক্ষেত্রেই সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পিছপা হচ্ছেন না। গত ত্রিশে ডিসেম্বর বা ১৩ ই মহররমে অনুষ্ঠিত দেশব্যাপী গণ-বিক্ষোভে কোটি জনতার অংশগ্রহণই এর বড় প্রমাণ। বর্তমান ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, "যতদিন পর্যন্ত কোনো জাতি তার প্রকৃত অধিকারকে দৃঢ় ঈমান, সচেতনতা ও অবিচলতা নিয়ে রক্ষা করবে ততদিন সেই জাতি মাথা উঁচু করে রাখতে সক্ষম হবে। "
ইরানের ইসলামী বিপ্লব অনেক নতুন সংস্কৃতি বা মূল্যবোধের জন্ম দিয়েছে। এই মহাবিপ্লব এ আদর্শ তুলে ধরেছে যে, রাজনীতি থেকে আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতাকে নির্বাসিত করা উচিত নয়। তাই রাজনীতিবিদ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদেরকে ন্যায়বিচারকামী, সৎ ও খোদাভীরু হতে হবে যাতে বিশ্বের সর্বত্র ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায়।
ইসলামের প্রাণসঞ্জীবনী শিক্ষায় উদ্দীপ্ত ইরানের ইসলামী বিপ্লব ফিরিয়ে এনেছে শাহাদতের ঐতিহ্য তথা হোসাইনী সংস্কৃতি। ইসলাম যে জীবনের সব ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম তা দেখিয়ে দিয়েছে এই বিপ্লব। স্পেনের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ অধ্যাপক কিলবাস বলেছেন, "ইরানের ইসলামী বিপ্লব ধর্মকে আবার জীবন দান করেছে। ফলে প্রাত্যহিক জীবনে আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য্যগুলো আবারো গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশ্ব পুনরায় মুক্তির আশায় ও সামাজিক সম্পর্কগুলোকে সুন্দর করার লক্ষ্যে পুনরায় ধর্মের শক্তি এবং আধ্যাত্মিক আকর্ষণের প্রতি প্রবলভাবে ঝুঁকে পড়েছে। ইমাম খোমেনী (রঃ)'র ধর্মীয় বিপ্লবের আহ্বানই বিশ্বের চিন্তাজগতে এতসব পরিবর্তন এনেছে।"(রেডিও তেহরান)