ইতিহাসের পাতায়: ছয়ই মহররম
  • শিরোনাম: ইতিহাসের পাতায়: ছয়ই মহররম
  • লেখক:
  • উৎস:
  • মুক্তির তারিখ: 5:37:50 29-6-1403

আজ হতে ১৩৭৪ বছর আগে ৬১ হিজরির ছয়ই মহররম কারবালার ময়দানে সত্য ও মিথ্যার  উভয় শিবিরই জোরদার হয়েছিল নিজ নিজ সমর্থকদের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে। তবে কুফা ইমাম হুসাইন (আ.)’র কালজয়ী বিপ্লবের বিপক্ষে তথা মিথ্যার পক্ষে ঝুঁকে পড়েছিল।
 
ইমামের একনিষ্ঠ সমর্থক ও সঙ্গী হাবিব বিন মাজাহের (রা.) এই দিন তাঁর প্রিয় নেতার অনুমতি নিয়ে সাহায্যকারী আনার আশায় গোপনে বনি আসাদ গোত্রের কাছে যান। বনি আসাদ গোত্রের লোকেরা সাহায্যের প্রস্তাবে সাড়া দেয় এবং তাদের ৯০ জন ইমাম হুসাইন (আ.)-কে সাহায্যের জন্য রওনা হন। কিন্তু ওমর সাদের গুপ্তচররা এ খবর সাদের কাছে পাঠালে সে ৪০০ ব্যক্তিকে পাঠায়  যাতে ওই ৯০ জন ইমাম শিবিরে যোগ দিতে না পারে। ফলে তাদের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায় এবং বনি আসাদ গোত্রের অনেকেই শহীদ ও আহত হন। অনেকেই পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। হাবিব এই ঘটনার কথা ইমামের কাছে তুলে ধরলে তিনি বলেন:
لاحولَولاقوّةَالاّبالله
লা হাওলা ওয়ালা কুউআতা ইল্লাহ বিল্লাহ।
অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কারো কোনো শক্তি নেই।
 
ষষ্ঠ মহররম থেকে কুফার কামারদের ব্যবসা রমরমা হয়ে ওঠে। রাসূল (সা.)’র কলিজার টুকরা এবং হযরত আলী (আ.) ও ফাতিমা সালামুল্লাহি আলাইহার নয়নের আলোর রক্ত ঝরানোর জন্য তীর, বর্শা ও তলোয়ার কেনার এবং সেগুলোকে ধারালো করে বিষ মাখানোর ধুম পড়ে যায়। কোনো কোনো তীর ছিল তিন শাখা-বিশিষ্ট।
 
এই দিনে ইয়াজিদের পক্ষে বহু সেনা কারবালায় জড়ো হয়। একই দিনে ইবনে জিয়াদ ওমর সাদের কাছে একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে লেখা ছিল: আমি  সামরিক দিক থেকে তোমাকে সুসজ্জিত করেছি। পদাতিক সেনাই বল ও ঘোড়-সওয়ারই বল তোমাকে দেয়া হয়েছে। তুমি জেনে রাখ যে প্রত্যেক দিন ও রাত তোমার ততপরতা সম্পর্কে আমার কাছে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে (গুপ্তচরদের মাধ্যমে)।